যদি তিনি ছুটি না বাড়ান তাহলে তাকে অনুপস্থিত বলে গণ্য করা হবে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, সেটা এখনো বলার সময় আসেনি। এখনো রাত বারোটা বাজেনি।
গত ১৩ অক্টোবর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের এসকিউ-৪৪৭ ফ্লাইটে অস্ট্রেলিয়া যান প্রধান বিচারপতি।
অবকাশকালীন ছুটি শেষে গত ০২ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট খোলার আগের দিন অসুস্থতার কথা জানিয়ে একমাসের (০৩ অক্টোবর থেকে ০১ নভেম্বর) ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। পরে বিদেশে যেতে আরও দশদিনের (০২ থেকে ১০ নভেম্বর) ছুটি বাড়িয়ে নিয়েছেন তিনি।
এদিকে ০৫ নভেম্বর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছিলেন, দেশে ফিরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দায়িত্ব গ্রহণ সুদূরপরাহত। ওইদিন নিজ কার্যালয়ে মাহবুবে আলম আরও বলেন, ‘আমি আগেও বলেছিলাম, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার দায়িত্ব গ্রহণ সুদূরপরাহত, আজও বলছি। কারণ, অন্য বিচারপতিরা যদি তার সঙ্গে না বসতে চান, তাহলে তিনি কিভাবে বিচার করবেন?’
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুসারে, অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রধান বিচারপতি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসার জন্য যান। শুক্রবার সকালে তিনি সিঙ্গাপুর থেকে কানাডার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
গত ০২ অক্টোবর আপিল বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে ওই একমাসের জন্য প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব দেন রাষ্ট্রপতি। বিচারপতির সিনহার ছুটি বেড়ে যাওয়ায় বিচারপতি ওয়াহ্হাব মিঞার দায়িত্বকালও ১০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
এদিকে বিদেশে যাওয়ার প্রাক্কালে বাসভবনের গেটে সাংবাদিকদের লিখিত বক্তব্য দিয়ে যান প্রধান বিচারপতি। পরদিন বিবৃতি দিয়ে প্রধান বিচারপতির ওই বক্তব্যকে বিভ্রান্তিমূলক উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে ১১টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সম্বলিত দালিলিক তথ্যাদি আপিল বিভাগের পাঁচ বিচারপতির কাছে হস্তান্তর করেছেন। এর মধ্যে বিদেশে অর্থপাচার, আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলনসহ আরও সুনির্দিষ্ট গুরুতর অভিযোগ রয়েছে’।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
ইএস/বিএস