শুক্রবার (১০ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) আদালতে গ্রেফতার মকবুলের চাচা আনোয়ারও এ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ধার নেওয়া ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যেই চাচা-ভাতিজা মিলে ইউনুছকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন চাচা-ভাতিজা। পরে বস্তায় ভরে বাড়ির পাশের পুকুরে মরদেহটি ফেলে দেওয়া হয়।
গ্রেফতার চাচা আনোয়ার (৩৫) আড়াইহাজার উপজেলার দড়িগাঁও গ্রামের ওয়াজ উদ্দীনের ছেলে। ভাতিজা মকবুল (২৮) একই গ্রামের আফতাব উদ্দিনের ছেলে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মফিজুল ইসলাম জানান, ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন আড়াইহাজারের গহরদী গ্রামের আবুল কাসেমের একমাত্র ছেলে ইউনুছ।
পরে থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থেকে দুইজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে গত ৬ নভেম্বর ইউনুছের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এসআই মফিজ আরও জানান, আদালতে মকবুল স্বীকার করেছে-ব্যবসার জন্য ৪ বছর আগে তার চাচা আনোয়ার ইউনুছের কাছ থেকে ৪ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলো। এ টাকা চাইতে গেলে ওই সময়ই ইউনুছকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল আনোয়ার। পাওনা টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যেই চাচা-ভাতিজা মিলে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৭
এমএ/