শনিবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা এসব কথা বলেন।
নতুন আইনজীবীদের সনদ বিতরণ উপলক্ষে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের উপর আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব ন্যস্ত হয়েছে। এক্ষেত্রে বার (আইনজীবী সমিতি) এর ভূমিকাও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। একটি শক্তিশালী ও সহযোগিতামূলক বার নিঃসন্দেহে বেঞ্চের (কোর্ট) কার্যকর বন্ধু। ’
‘একটি প্রচলিত প্রবাদ হলো ‘যেখানে আইনের শাসনের পতন হয়, সেখানেই স্বৈরাচারের উত্থান হয়,’ বলেন তিনি।
বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা বলেন, বর্তমানে দেশের বিভিন্ন আদালতে ৩০ লাখের বেশি মোকদ্দমা শুনানি ও নিষ্পত্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এ বিশাল কর্মযজ্ঞের তুলনায় কর্মশক্তি খুবই অপ্রতুল। এটা সুষ্পষ্ট যে, দেশের বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন মামলার অনুপাতে বিচারকদের সংখ্যা অনেক কম। তা সত্ত্বেও ঝুলে থাকা মামলাগুলো অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত। কারণ, বিচারপ্রার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করেছেন।
২০১২ সালের ২২ এপ্রিল অর্ন্তুভূক্তি পাওয়া নতুন আইনজীবীদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদার।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন-আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মাহবুবে আলম, কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুল মতিন খসরু, ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান শ ম রেজাউল করিম প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১১, ২০১৭
ইএস/এমএ