মামলাটির ডেথ রেফারেন্স এবং আসামির জেল ও ফৌজদারি আপিল খারিজ করে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার (১২ নভেম্বর) এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুজ্জামান রুবেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাবিনা আহমেদ মলি।
২০০৭ সালের ১৭ জুলাই দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের প্রিন্স টাওয়ারের নিজ বাসায় খুন হন অ্যাডভোকেট সায়মা খানম। সায়মার স্বামী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম ওইদিনই নিউমার্কেট থানায় আসামি অজ্ঞাত উল্লেখ করে হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
নিহত সায়মার মোবাইলের কললিস্ট দেখে ২০০৭ সালের ২৪ জুলাই ফায়জুলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরদিন খুনের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
২০১০ সালে সায়মা খানমকে হত্যার দায়ে ফায়জুলকে মৃত্যুদণ্ড দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল- ২।
পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন ফায়জুল।
মনিরুজ্জামান রুবেল বলেন, ‘আসামিপক্ষের বক্তব্য ছিলো- এটি কোনো পূর্বপরিকল্পিত হত্যা নয়। পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে উত্তেজনার বশে হত্যা করেন ফায়জুল। এছাড়া হত্যাকাণ্ডের সময় আসামির বয়স ছিলো ত্রিশ বছর’।
‘এখন আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে বলা যাবে, কেন মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলো’।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
ইএস/এএসআর