আদালতে ইয়াসিনের মা তাসমিয়া হাসানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দীকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মাদ আলি আজম ও আইনুন নাহার সিদ্দিকা।
আর ইয়াসিনের বাবা এহসান আব্দুল্লাহর পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার মামলা পরিচালনা করেন।
আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা জানান, চলতি বছরের ২৮ এপ্রিল তাসমিয়া-এহসানের ঘরে ইয়াসিন জন্ম নেয়। কিন্তু কিছুদিন পরে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হলে তাসমিয়া ইয়াসিনকে নিয়ে গুলশানে তার বাবার বাড়িতে চলে যান।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ছেলে নিয়ে টিকা দেওয়ার জন্য তাসমিয়া গুলশানের একটি হাসপাতালে গেলে এহসান আব্দুল্লাহ ও ইয়াসিনের দাদিও ওই হাসপাতালে আসেন। কৌশলে এহসান তার ছেলেকে নিয়ে নিজেদের বাসায় চলে যান।
‘দুধের শিশু ইয়াসিনকে পাওয়ার আশায় তাসমিয়া গুলশান থানায় সাধারণ ডায়রি করে মহিলা পরিষদের দ্বারস্থ হন। কিন্তু কোনো কিনারা করতে না পেরে তাসমিয়া ২২ অক্টোবর হাইকোর্টে রিট করেন। ’
তিনি জানান, হাইকোর্ট প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ইয়াসিনকে তার মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে রুল জারি করেন। এ অবস্থায় তাসমিয়া আরও একটি সম্পুরক আবেদন করেন। ওই আবেদনে বলা হয়, ইয়াসিনকে যেন প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য কাছে পান এবং বুকের দুধ খাওয়াতে পারেন। কিন্তু আদালত তাসমিয়ার সে আবেদন খারিজ করে দিলে তিনি আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
রোববার আপিল বিভাগ খাস কামরায় তাসমিয়ার কথা শোনেন। সেখানে উভয়পক্ষের আইনজীবীরাও উপস্থিত ছিলেন।
আইনুন নাহার আরও জানান, আপিল বিভাগ হাইকোর্টে রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শিশুটিকে মায়ের কাছেই রাখার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রোববার বিকেল ৫টার মধ্যে শিশুটিকে ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। পরে বিকেলেই ইয়াসিনকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়।
এছাড়াও শিশুটির বাবা তাকে দেখতে চাইলে যে কোনো সময় দেখতে পারবেন বলে আদেশ দেন আদালত।
এর আগে পারিবারিক সম্মতিতে ২০১৫ সালে তাসমিয়া ও এহসানের বিয়ে হয় বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২০২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৭
ইএস/এমএ