সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে জরিমানার টাকা ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া শিশুর ভরণ-পোষণের জন্য দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বুলু মামলার বরাত দিয়ে বাংলানিউজকে জানান, ২০১৬ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে দরিদ্র এক তরুণীর ঘরে ঢুকে ধর্ষণ করেন মস্ত। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। আট মাস পর মেয়েটি মস্তর পরিবারকে এ কথা জানিয়ে বিয়ের দাবি জানালে তারা আপোষ-মীমাংসার নামে তালবাহানা করতে থাকেন। ওই সময় আত্মগোপন করেন মস্ত। কোনো সুরাহা না হওয়ায় একই বছরের ৪ অক্টোবর ওই তরুণী বাদী হয়ে মস্ত, তার বাবা ও দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে নকলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওইদিনই পুলিশ মস্তকে গ্রেফতার করে। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নকলা থানার সেই সময়ের উপপরিদর্শক (এসআই) বন্দে আলী তদন্ত শেষে একই বছরের ২৩ নভেম্বর শুধু মস্তর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরই মধ্যে ওই তরুণী একটি ছেলের জন্ম দেন। তার নাম রাখা হয় সৌরভ। এরপর মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। এদিকে, আসামিপক্ষ ওই সন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুললে ডিএনএ টেস্ট করা হয়। তাতে প্রমাণ হয় যে শিশুটি মস্তরই সন্তান। আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় সোমবার এ রায় দেন বিচারক।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০১৭
এসআই