সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের ছিলেন প্রসিকিউটর হায়দার আলী।
ডুমুরিয়ার খর্নিয়া গ্রামের লিয়াকত আলী গাজী ১১ আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ এনে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা করেন। পরে তা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হলে প্রসিকিউশনের আবেদনে ট্রাইব্যুনাল আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
ওই মামলায় গত এপ্রিলে ১১ আসামির মধ্যে নয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উপজেলার খর্নিয়া ও রানাই গ্রাম এবং খুলনা মহানগরীর গল্লামারী এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাত অসামি এবং ঢাকা থেকে আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
খুলনায় গ্রেপ্তার সাতজন হলেন- আব্দুর রহিম (৬৮), শামসুর রহমান (৭৫), জাহান আলী বিশ্বাস (৬৭), মো. শাজাহান (৬৮), করিম শেখ (৬৮), আবু বকর (৬৭) ও রওশন আলী গাজি (৭২)।
আর ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন নাজের আলী ফকির (৬৮) ও শোহরাব হোসেন সরদার (৬২)। তাদের বাড়িও খুলনায়।
১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ- ১৯৭১ সালের ১৮ মে খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া গ্রাম থেকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকা আনু মোল্লা ওরফে আজিজ শেখ, মজিদ বিশ্বাস, সাহেব আলী, শামসুল মোল্লা, ইমাম শেখ, আমজাদ সরদার, আব্দুল লতিফ মোড়ল ও কাওসার শেখসহ ৯ জনকে ধরে নির্যাতন করতে করতে রানাই এলাকার বকুলতলা এলাকায় নিয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে গুলি করে হত্যার পর মরদেহ নদীতে ফেলে দেয়। সেখান থেকে জীবন নিয়ে একজন পালিয়ে আসতে সক্ষম হন।
মামলাটি তদন্ত করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩,২০১৭
ইএস/জেডএস