বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘(১) প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হইবেন। ’
সংবিধানের ৪৮ (৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘এই সংবিধানের ৫৬ অনুচ্ছেদের (৩) দফা অনুসারে কেবল প্রধানমন্ত্রী ও ৯৫ অনুচ্ছেদের (১) দফা অনুসারে প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্র ব্যতীত রাষ্ট্রপতি তাঁহার অন্য সকল দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুযায়ী কার্য করিবেন।
এছাড়া সংবিধানের ৯৬ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘এই অনুচ্ছেদের অন্যান্য বিধানাবলী সাপেক্ষে কোনো বিচারক সাতষট্টি বৎসর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে বহাল থাকিবেন। ’
৬৭ বৎসর বয়স পূর্ণ হলে বিচারকরা অবসরে যাবেন। রেওয়াজ অনুযায়ী আপিল বিভাগের বিচারপতিরাই প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। সাধারণত জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিই প্রধান বিচারপতি হন। তবে বিভিন্ন সময়ে জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে ডিঙিয়ে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার রেওয়াজও দেখা গেছে।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মোট বিচারপতি ছিল নয় জন। এর মধ্যে গত ১ জানুয়ারি বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। বাকি আট জনের মধ্যে বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা ৭ জুলাই এবং বিচারপতি মো. নিজামুল হক ১৪ মার্চ অবসরে যান।
শনিবার (১১ নভেম্বর) পদত্যাগ করেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। আর এ পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতি গ্রহণ করেছেন বলে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব।
এখন আপিল বিভাগের রয়েছেন পাঁচজন বিচারপতি। এদের মধ্যে আপিল বিভাগে জ্যেষ্ঠতার ক্রম অনুসারে বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা ২০১৮ সালের ১০ নভেম্বর, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ২০২১ সালের ৩০ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন। এদের মধ্যে মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞা বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
রাজধানীর রমনার ১৯ হেয়ার রোডে প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন। কার আবাস হচ্ছে এই বাসভবন সেদিকে তাকিয়ে সবাই।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৪, ২০১৭
ইএস/এএ