দণ্ডপ্রাপ্ত নবাব আলী রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার চন্দনমাড়িয়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মনসুর আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা নবাবকে রায় শোনাতে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে ফের কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে সৎ বাবার হাতে মেয়ে ধর্ষণের ঘটনাটিকে সামাজিক অবক্ষয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ইসমত আরা জানান, ঘটনার সময় মামলার বাদিনী ১৪ বছরের কিশোরী ছিলেন। তিনি সম্পর্কে নবাব আলীর সৎ মেয়ে। বাবা মারা যাওয়ার পর তার মায়ের সঙ্গে নবাব আলীর বিয়ে হয়। ২০১১ সালে নবাব তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও মেয়েটিকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন। এরপর সৎ মেয়েকে ধর্ষণ করেন তিনি।
পরে মেয়েটি ঘটনাটি তার নানিকে বিষয়টি জানান। তবে মেয়ের সংসার ভেঙে যাওয়ার ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখেন তিনি।
এ ঘটনার সাতমাস পর ২০১২ সালের ০৪ এপ্রিল নবাব তার স্ত্রীকে জুসের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়ান। এতে তিনি ঘুমিয়ে পড়লে রাতে আবারও ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়।
পরবর্তীতে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে তাকে চাচার বাড়ি টাঙ্গাইলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু ওই কিশোরী আবারও ফিরে আসেন।
পরে ঘটনাটি প্রকাশ্যে নিয়ে এসে ২০১২ সালের ১৯ জুলাই মেয়েটি তার সৎ বাবার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনা জানার পরেও গোপনের চেষ্টার অভিযোগে মামলায় তার নানিকেও আসামি করা হয়।
মামলায় মোট ৬ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ইসমত আরা। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খায়রুন্নাহার কাজল।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২২, ২০১৭
এসএস/এএসআর