ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

কুড়িগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
কুড়িগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা হত্যা মামলার অভিযোগ গঠন কঠোর নিরাপত্তায় আদালতে নেওয়া হচ্ছে দুই আসামিকে

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে ধর্মান্তরিত মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার শুনানি শেষে অভিযোগ গঠন করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টায় কঠোর নিরাপত্তায় কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ ওএইচএম ইলিয়াস হোসাইনের আদালতে অভিযুক্ত আসামি জাহাঙ্গীর ওরফে রাজিব ওরফে রাজিব গান্ধী (২৫) ও গোলাম রব্বানীকে (২২) শুনানির জন্য হাজির করা হয়।

আসামি পক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনে ৩, ৪ ও ৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন বিচারক।

একইসঙ্গে ২০১৮ সালের ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন তিনি।

আসামিদের পক্ষে আইনজীবী না থাকায় তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী অ্যাড. হুমায়ুন কবির ও অ্যাড. সফিকুল ইসলাম আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাড. হুমায়ুন কবীর বাংলানিউজকে বলেন, আসামি জাহাঙ্গীর ওরফে রাজিব ওরফে রাজিব গান্ধীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আমাকে এবং গোলাম রব্বানীর আবেদনের প্রেক্ষিতে অ্যাডভোকেট সফিকুল ইসলামকে আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। কুড়িগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড কমিটি কর্তৃক নিযুক্ত হয়ে আসামিদের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেছি। আদালত শুনানি শেষে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্ধারণ করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও কুড়িগ্রাম পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. এস এম আব্রাহাম লিংকন বাংলানিউজকে বলেন, বিচারক আসামি পক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক আইনে ৩, ৪ ও ৬ ধারায় অভিযোগ গঠন করেন এবং সাক্ষগ্রহণের জন্য আগামী ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।

২০১৬ সালের ২৩ মার্চ কুড়িগ্রাম শহরের গাড়িয়াল পাড়া এলাকায় প্রাতঃভ্রমণের সময় নিজ বাড়ির সামনে মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলীকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে এবং ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে রাহুল আমিন আজাদ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

বিস্ফোরক আইনে দায়েরকৃত মামলায় ৭ জন আসামির মধ্যে ৪ জঙ্গি দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মারা যান। অপর তিনজনের মধ্যে জাহাঙ্গীর ওরফে রাজিব ওরফে রাজিব গান্ধী ও গোলাম রব্বানীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হলেও অপর আসামি রিয়াজুল ইসলাম ওরফে মেহেদী হাসান এখনও পলাতক রয়েছেন।

বন্ধুকযুদ্ধে নিহত আসামিরা হলেন- বগুড়া জেলার চপিনগর ইউনিয়নের কুষ্টিয়া মন্ডলপাড়া গ্রামের আবু হোসেনের ছেলে খাইরুল ইসলাম ওরফে বাঁধন ওরফে পারুল (২২), দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার দক্ষিণ দেবীপুর উত্তর পাড়ার আব্দুল হাই প্রধানের ছেলে শফিউল আলম ওরফে সোহান ওরফে আবু মুকাদিল ওরফে ডন (১৯), পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার সোনাহারগঞ্জ গ্রামের আব্দুল মিয়া মুন্সির ছেলে নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক নজরুল ওরফে বাইক হাসান ওরফে হাসান ওরফে বাশির (২৬) এবং কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার চর বিদ্যানন্দ গ্রামের আলম জোলার ছেলে সাদ্দাম হোসেন ওরফে চঞ্চল ওরফে রাহুল ওরফে সবুজ ওরফে রবি (২০)।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
এফইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।