বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ বিআরটিসির আবেদন নিষ্পত্তি করে আদেশ দেন। তবে এ বিষয়ে হাইকোর্টে জারি করা রুল ১৪ ডিসেম্বরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট এক আবেদনে স্থিতাবস্থা জারি করেছিলেন। এর বিরুদ্ধে বিআরটিসি লিভ টু আপিল দায়ের করে।
হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেছেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতের আন্তজার্তিক বাস রুটে সরকার টু সরকার সম্পাদিত প্রটোকলের শর্ত অনুযায়ী ঢাকা-কোলকাতা-ঢাকা রুটে নাস্তাসহ ১১ ডলার (প্রায় ৯২০ টাকা) ভাড়া আদায়ের কথা থাকলেও সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসিসহ সকল বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ১৭০০ থেকে ২০০০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করছে। এতে এই রুটে প্রতিদিন যাতায়াতকারী প্রায় ৮০০০ যাত্রীর স্বার্থ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
বাস রুটটি চালুর পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাওয়ায় পরবর্তীতে আগরতলা-ঢাকা-কোলকাতা-ঢাকা-আগরতলা, ঢাকা-খুলনা-কোলকাতা-ঢাকা, ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা, ঢাকা-সিলেট-শিলং-গোয়াহাটি-ঢাকা রুট সমূহ চালু হলে এসব রুটে এসি/নন এসি বাসের ভাড়া নির্ধারিত না থাকায় অপারেটর প্রতিষ্ঠান ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে।
মোজাম্মেল হক বলেন, গত ৪ জুলাই দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত একটি টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে ৫টি রুটে অসম প্রতিযোগিতামূলকভাবে অপারেটর নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। ভাড়া নির্ধারণ না করে এ বিজ্ঞপ্তি চলমান ভাড়া নৈরাজ্যকে আরো বেশি উস্কে দেবে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে ৫ টি রুটে ১৯৯৯ সালের উভয় দেশের মধ্যে সম্পাদিত প্রটোকলের শর্তানুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে টেন্ডার কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে। এ জন্য ১৩ জুলাই সরকারকে চিঠিও দিয়েছি। কিন্তু সরকার তা নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্টে রিট করি। ওই রিটের পর হাইকোর্ট ২৩ জুলাই ভাড়া নির্ধারণ না করে দুই বছরের জন্য বাংলাদেশ-ভারতের সঙ্গে ৫টি রুটে বাস অপারেটর নিয়োগে দেওয়া টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
এর মধ্যে ৩০ আগস্ট টেন্ডার ওপেনিং কমিটির মিটিং করে বিআরটিসি। ওই মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে টেন্ডারে অংশগ্রহণকারীদের ২টি বাস নিয়ে মতিঝিল ডিপোতে হাজির থাকতে বলা হয়।
কিন্তু আইন অনুসারে ভাড়া নির্ধারণ না করে এ ধরনের টেন্ডার প্রক্রিয়া সঠিক নয় বলে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন মোজাম্মল হক। ১৩ সেপ্টেম্বর আদালত আবেদনের শুনানি নিয়ে টেন্ডার প্রক্রিয়ার ওপর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
আদালতে বিআরটিসির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এ বি এম আলতাফ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৭
ইএস/এমজেএফ