বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে আমতলীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. হুমায়ুন কবির এ আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় ২১ মার্চ আমতলীর আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ঘোড়া প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএম নুরুল হক তালুকদার ৩০-৪০ জন সমর্থক নিয়ে মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. হুমায়ুন কবিরের বড় ভাই সুলতান হাওলাদারের আরপাঙ্গাশিয়া গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন আমতলী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. শহীদুল ইসলাম। মামলার তদন্ত শেষে চেয়ারম্যান নুরুল হকসহ ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আমতলীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে তদন্তকারী কর্মকর্তা।
মামলার বাদী এ অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে ২ আগস্ট নারাজিপত্র দাখিল করলে আদালতের বিচারক ৯ নভেম্বর নারাজিপত্র আমলে নিয়ে মামলার তদন্তভার দেন বরগুনার জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ (ডিবি)র' ওসি শেখ মো. আবদুল্লার উপর। ডিবির ওসি শেখ আবদুল্লাহ দীর্ঘদিন তদন্ত শেষে একেএম নুরুলহকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভভিযোগপত্র গঠন করে ১০ অক্টোবর আদালতে দাখিল করেন।
২৯ নভেম্বর ছিল এ মামলায় আসামিদের হাজিরার দিন। কিন্তু আসামিরা আদালতে হাজির না হলে আদলতের বিচারক ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এ মামলার প্রধান আসামি একেএম নুরুল হক, মিরাজ তালুকদার ও হারুন তালুদার আদালতে হাজির হলে দীর্ঘ শুনানি শেষে বিচারক ২ হাজার টাকা মুচলেকায় মো. হুমায়ুন কবির মিরাজ ও হারুন তালুকদারের ৭ দিনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
মামলার প্রধান আসামি আরপাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম নুরুল হক তালুকদারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, ৩০ নভেম্বর, ২০১৭
আরএ