ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

আইন ও আদালত

নাইকো মামলায় খালেদার আবেদনের শুনানি ১৫ জানুয়ারি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
নাইকো মামলায় খালেদার আবেদনের শুনানি ১৫ জানুয়ারি

ঢাকা: নাইকো দুর্নীতি মামলায় ১১ আসামির মধ্যে আরও চারজনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে।

জামিনে থাকা মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ ও সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেনের আবেদনের শুনানির দিন আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত।  

ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহমুদুল কবীরের আদালতে মামলাটির অভিযোগ (চার্জ) গঠনের শুনানি চলছে।

এর অংশ হিসেবে প্রথমে নেওয়া হচ্ছে আসামিদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতির আবেদনের শুনানি।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) আবেদনের শুনানি শেষ হওয়া চার আসামি হলেন- সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া ও ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন।  

এর আগে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইনের পক্ষে মামলা থেকে অব্যাহতির বিষয়ে শুনানি হয়।
 
এ নিয়ে মোট ৫ আসামির আবেদনের শুনানি শেষ হলো।

পলাতক অন্য ৩ আসামি হলেন- সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক ও নাইকো’র দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

গত ২০ নভেম্বর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ মামলার ১১ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আবেদন জানান।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম ২০০৭ সালের ০৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

২০০৮ সালের ০৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান।

অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

নাইকো ছাড়াও গ্যাটকো ও বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা বাতিলের আবেদন জানিয়ে পৃথক পৃথক রিট করেছিলেন খালেদা জিয়া। এসব রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি মামলাগুলোর কার্যক্রম স্থগিত ও রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। কয়েক বছর ধরে স্থগিত থাকার পর মামলাগুলো সচলের উদ্যোগ নিয়ে রুল নিষ্পত্তির আবেদন জানায় দুদক। পরে গত বছর পৃথক পৃথক শুনানি শেষে মামলা তিনটি সচলের রায় দেন হাইকোর্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৭
এমআই/আরআর/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।