এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।
আদেশে আদালত সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৬০ দিনের মধ্যে খোলা বৈদ্যুতিক তার নিরাপদ করার ব্যবস্থা গ্রহণে ডিপিডিসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত ও আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান।
পরে মুনতাসীর মাহমুদ রহমান বলেন, জিগাতলায় চার তলার বারান্দায় শিশুটি খেলা করছিলো। এসময় পাশে থাকা বিদ্যুতের খোলা লাইনে একটি পাখি বসে। সেটি ধরতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে সাত বছরের শিশু রাফসান নুর। এ ঘটনায় শিশুটির মুখমণ্ডলসহ শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে যায়। বর্তমানে রাফসান নূর ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
তিনি বলেন, আবাসিকে এলাকায় দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিতে হলে নিরাপদ দূরত্ব দিয়ে নিতে হয়। কিন্তু ১১ হাজার কেভির এ লাইনটি বাসা বাড়ির খুব কাছে দিয়ে খোলা অবস্থায় স্থাপন করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় রাফসানের বাবা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কে এম রেজাউল ফিরোজ রিন্টু হাইকোর্টে একটি রিট করেন।
মুনতাসীর মাহমুদ বলেন, রুলে আদালত এ ঘটনার জন্য আবেদনকারীকে কেন এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন এবং আবাসিক এলাকায় নিরাপদ বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের অপারগতা ও ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।
রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিবসহ ডিপিডিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
ইএস/এএ