ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শিশু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট: কোটি টাকা ক্ষতিপূরণে রুল 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
শিশু বিদ্যুৎস্পৃষ্ট: কোটি টাকা ক্ষতিপূরণে রুল 

ঢাকা: রাজধানীর জিগাতলায় বাসার বারান্দায় দাঁড়িয়ে খোলা বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন থেকে পাখি ধরতে গিয়ে ৭ বছরের শিশু বিদ্যুৎস্পৃষ্টের ঘটনায় কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেন।

আদেশে আদালত সংশ্লিষ্ট এলাকায় ৬০ দিনের মধ্যে খোলা বৈদ্যুতিক তার নিরাপদ করার ব্যবস্থা গ্রহণে ডিপিডিসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

এছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষকে রাষ্ট্রীয় খরচে ওই শিশুর চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অমিত দাস গুপ্ত ও আইনজীবী মুনতাসীর মাহমুদ রহমান।

পরে মুনতাসীর মাহমুদ রহমান বলেন, জিগাতলায় চার তলার বারান্দায় শিশুটি খেলা করছিলো। এসময় পাশে থাকা বিদ্যুতের খোলা লাইনে একটি পাখি বসে। সেটি ধরতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়ে সাত বছরের শিশু রাফসান নুর। এ ঘটনায় শিশুটির মুখমণ্ডলসহ শরীরের ২০ শতাংশ পুড়ে যায়। বর্তমানে রাফসান নূর ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।
 
তিনি বলেন, আবাসিকে এলাকায় দিয়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন নিতে হলে নিরাপদ দূরত্ব দিয়ে নিতে হয়। কিন্তু ১১ হাজার কেভির এ লাইনটি বাসা বাড়ির খুব কাছে দিয়ে খোলা অবস্থায় স্থাপন করা হয়েছে।

ওই ঘটনায় রাফসানের বাবা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কে এম রেজাউল ফিরোজ রিন্টু হাইকোর্টে একটি রিট করেন।

মুনতাসীর মাহমুদ বলেন, রুলে আদালত এ ঘটনার জন্য আবেদনকারীকে কেন এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন এবং আবাসিক এলাকায় নিরাপদ বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের অপারগতা ও ব্যর্থতাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

রিটের বিবাদীরা হচ্ছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিবসহ ডিপিডিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৭
ইএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।