বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) লিখিত আদেশ দেওয়ার পর শুনানি শেষে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কেএম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) হাইকোর্টে হাজির হয়ে মৌখিকভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করলে আদালত লিখিত আকারে দিতে বলে।
এর আগে গত ১৭ ডিসেম্বর এক আইনজীবীকে সাজা দেওয়ার ঘটনায় তাকে হাইকোর্টে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
এ বিষয়ে বিরোদা রানির আইনজীবী মামুন মাহবুব জানিয়েছিলেন, মৌখিকভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার পর আদালত বলেছেন, লিখিতভাবে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে।
১২ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) একটি নামজারির মামলায় শুনানি করতে দিনাজপুরের বীরগঞ্জে এসিল্যান্ডের কক্ষে বসেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট নিরোদ বিহারী রায়। এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার জের ধরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই আইনজীবীকে ৫০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে একদিনের কারাদণ্ডাদেশ দেন সহকারী কমিশনার বিরোদা রানী রায়।
ভুক্তভোগী ওই আইনজীবীর অভিযোগ, সাজা দেওয়ার সময় এসিল্যান্ড তাকে বলেন, আমি আমার ক্ষমতা দেখালাম, পারলে আপনি আপনার ক্ষমতা দেখান।
পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে অবহিত করে স্থানীয় আইনজীবী সমিতি। এ ঘটনায় বিরোদা রানী রায়কে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় বদলি করা হয়। যদিও এখনও নতুন কর্মস্থলে যোগ দেননি তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭
ইএস/এসএইচ