বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নগর ভবনে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালতের বিচারক বিশেষ মহানগর হাকিম মো. মাহবুব সোবহানী এ রায় দেন।
দুই মামলার প্রত্যেকটির রায়ে নিয়াজ রহিমকে একবছর করে দুইবছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার পরপরই নিয়াজ রহিমকে কেরানীগঞ্জে স্থাপিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আগোরার চেয়ারম্যান নিয়াজ রহিম রহিমআফরোজ গ্রুপের একজন পরিচালক। এই গ্রুপের আরও কয়েকটি কোম্পানির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে আছেন তিনি।
তবে আগোরার ব্যবস্থাপনার নিয়ন্ত্রণ এখন রয়েছে ইক্যুইটি ফান্ড ব্রামার অ্যান্ড পার্টনারস অ্যাসেটস ম্যানেজমেন্ট বাংলাদেশের হাতে।
ভেজাল ঘি বিক্রির অভিযোগে ২০০৮ সালে নিয়াজ রহিমের বিরুদ্ধে পৃথক দু’টি মামলা করেন নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক ফখরুদ্দিন মোবারক।
বাংলানিউজকে তিনি বলেন, তৎকালীন অবিভক্ত সিটি করপোরেশন থাকাকালে আমরা আগারো থেকে দু’টি ঘি-এর নমুনা সংগ্রহ করি। এর একটি ছিল কুষ্টিয়ার স্পেশাল খাঁটি গাওয়া ঘি, অপরটি ছিল অনিল ঘোষের বাঘাবাড়ি স্পেশাল গাওয়া ঘি।
ফখরুদ্দিন মোবারক জানান, ২০০৮ সালে নমুনা সংগ্রহ করার পর সিটি করপোরেশনের জনস্বাস্থ্য খাদ্য পরীক্ষাগারে পরীক্ষার পর ওই ঘি দু’টিতে ভেজাল প্রমাণিত হয়। তখন ঘি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কুষ্টিয়ার স্পেশাল গাওয়া ঘির মালিক আব্দুল কুদ্দুসকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই জরিমানা করা হয় অনিল ঘোষের বাঘাবাড়ি স্পেশাল গাওয়া ঘির মালিককেও।
তারা জরিমানা দিলেও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান আগোরার মালিক দোষ স্বীকার না করে নিম্ন আদালতে যান। সেখান থেকে তাকে দোষীসাব্যস্ত করা হলে ফের উচ্চ আদালতে আপিল করেন তিনি। সেখান থেকেও হেরে উচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে যান আগোরার চেয়ারম্যান।
কিন্তু সব জায়গায় হেরে যাওয়ার পর খাদ্য নিরাপত্তা আদালতের চূড়ান্ত রায়ে তাকে কারাদণ্ড এবং জরিমানা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৭/আপডেট: ১৯০২ ঘণ্টা
এসএম/এমএ