ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

আইন ও আদালত

২১ আগস্ট মামলায় হানিফ-কায়কোবাদের খালাস দাবি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩, ২০১৮
২১ আগস্ট মামলায় হানিফ-কায়কোবাদের খালাস দাবি

ঢাকা: ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ ও বিএনপির সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদসহ ৫ আসামির খালাস দাবি করেছেন তাদের আইনজীবীরা।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) মামলার যুক্তিতর্ক শুনানিতে রাষ্ট্র নিযুক্ত হানিফের আইনজীবী চৈতন্য চন্দ্র হালদার, কায়কোবাদের আইনজীবী আশরাফ উল আলমসহ অন্যান্য আইনজীবীরা আসামিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ার দাবি করে তাদের খালাস চান।

এ মামলায় পলাতক আসামিদের পক্ষে যুক্তিতর্ক উত্থাপন চলছে।

বুধবার অ্যাডভোকেট চৈতন্য চন্দ্র হালদার আসামি হানিফের পক্ষে গত দিনের যুক্তিতর্ক শেষ করেন। এরপর আসামি কায়কোবাদের পক্ষে অ্যাডভোকেট আশরাফ উল আলম, আসামি খলিলের পক্ষে অ্যাডভোকেট খলিলুর রহমান খান, বিএনপির পলাতক নেতা আসামি হারিছ চৌধুরীর পক্ষে অ্যাডভোকেট আবু তৈয়ব ও আনিসুল মোরছালিনের পক্ষে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন যুক্তিতর্ক শেষ করেন।

অপর আসামিদের পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আগামী ৯, ১০ ও ১১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌশুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান ২৫ কার্যদিবস ধরে রাষ্ট্রপক্ষে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন।

পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে স্থাপিত ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে মামলার বিচার চলছে। ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন মামলার যুক্তিতর্ক শুনছেন।

মামলাটি প্রমাণে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ২২৫ জন সাক্ষী আদালতে উত্থাপন করা হয়েছে।  
গত বছর ৩০ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দের জেরা শেষের মধ্য দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।

এ মামলায় মোট আসামি ৫২ জন। ২০১৫ সালের ২১ নভেম্বর রাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মামলার অন্যতম আসামি সাবেক মন্ত্রী জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর হয়। এছাড়া মুফতি হান্নান ও তার সহযোগী শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুলের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে ১২ এপ্রিল রাতে। বর্তমানে ৪৯ আসামির বিচার চলছে।

আসামিদের মধ্যে ৮ আসামি জামিনে, ১৮ আসামি পলাতক ও ২৩ আসামি হাজতে আছেন।

এ মামলার জামিনে থাকা আসামিরা হলেন, খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডি’র সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডি’র সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম।

অন্যদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৩ জন কারাগারে আটক আছেন। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিএনপির সাবেক এমপি কাজী শাহ মোফাজ্জেল হোসেন কায়কোবাদসহ ১৮ জন আসামি পলাতক আছেন।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের জনসভায় সন্ত্রাসীরা ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা চালায়। হামলায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নির্মমভাবে নিহত হন।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। আহত হন শতাধিক নেতাকর্মী।

এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরী বাদী হয়ে মতিঝিল থানায় পৃথক তিনটি এজাহার দায়ের করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৭
এমআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।