ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ডিএনসিসি উপ-নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
ডিএনসিসি উপ-নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট

ঢাকা: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এ বিষয়ে শুনানি শেষে বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশের জন্য বুধবার (১৭ জানুয়ারি) দিন নির্ধারণ করেছেন।

ওই আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, দুই ব্যক্তির দু’টি রিট নিয়ে আজ শুনানি হয়েছে।

আদেশের জন্য আদালত বুধবার রায়ের দিন রেখেছেন।

গত ৯ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের শূন্য পদে উপনির্বাচন ও নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কউন্সিলর নির্বাচনের যে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালঞ্জ করে রিট করেন নতুন ওয়ার্ড হিসেবে যুক্ত হওয়া ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।  

আদালতে আতাউর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভূঁইয়া।

জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন সেলিম।  

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান।  

দুই রিটে বিবাদী করা হয়েছে, স্থানীয় সরকার সচিব, নির্বাচন কমিশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র, নির্বাচন কমিশন সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিবকে।  

পরে আইনজীবীরা জানান, গত ৯ জানুয়ারি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এখন যিনি প্রার্থী হবেন তিনি কিন্তু জানেন না ভোটার কিনা। তাছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে এটা সম্ভব হচ্ছে না।  

এছাড়াও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫ (৩) উপধারা অনুযায়ী ‘মেয়রের পদসহ করপোরেশনের শতকরা পঁচাত্তর ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরগণের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে, করপোরেশন, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। ’ 

এ আইন মতে, উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি মিলে কাউন্সিলর শতকরা পঁচাত্তর ভাগ হয় না। কারণ নতুন ১৮টিতে তো নির্বাচনই হয়নি। সে হিসাবে মেয়র পদই তো গঠিত হচ্ছে না।  

তাছাড়া, সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে যারা কাউন্সিলর হবেন তারা কতদিনের জন্য নির্বাচিত হবেন। তারা কি পাঁচ বছরের জন্য হবেন, না আড়াই বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। এসব প্রশ্ন রেখেই দু’টি রিট করা হয়।  

আবেদনে গত ৯ জানুয়ারি ঘোষণা করা তফসিল কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থা তফসিলের কার্যক্রম স্থগিত রাখারও আবেদন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
ইএস/এসএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।