ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঢাকা উত্তর সিটির উপ-নির্বাচন স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮
ঢাকা উত্তর সিটির উপ-নির্বাচন স্থগিত আইনজীবী ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভূঁইয়া সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন

ঢাকা: গত ৯ জানুয়ারি জারি করা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপ-নির্বাচনের তফসিল এবং সার্কুলারের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশের পর রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভূঁইয়া বলেন, ৯ জানুয়ারি জারি করা তফসিল ও সার্কুলারের ওপরে তিন মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

 

এ বিষয়ে করা দু’টি রিটের ওপর গত মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) শুনানি হয়।

গত ৯ জানুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের শূন্য পদে উপ-নির্বাচন ও নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

ওই তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সিটি করপোরেশনে নতুন ওয়ার্ড হিসেবে যুক্ত হওয়া ভাটারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।

আদালতে আতাউর রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোস্তাফিজুর রহমান খান। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আহসান হাবিব ভূঁইয়া।

জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামরুল হক সিদ্দিকী। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. জাহাঙ্গীর হোসাইন সেলিম।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেছুর রহমান। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌহিদুল ইসলাম। তিনি আদালতে বলেন, তফসিল ঘোষণার পর আর স্থগিত হওয়ার সুযোগ নেই।

রুলে গত ৯ জানুয়ারি ঘোষণা করা তফসিল কেন আইনগত কর্তৃত্ব-বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

দুই রিটে বিবাদী করা হয়, স্থানীয় সরকার সচিব, নির্বাচন কমিশন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র, নির্বাচন কমিশন সচিব ও নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম-সচিবকে।  

মঙ্গলবার আইনজীবীরা জানান, গত ৯ জানুয়ারি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র দাখিল করতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। এখন যিনি প্রার্থী হবেন তিনি কিন্তু জানেন না ভোটার কি-না। তাছাড়া মনোনয়নপত্রে ৩০০ ভোটারের স্বাক্ষর থাকতে হবে। ভোটার তালিকা প্রকাশ না হলে এটা সম্ভব হচ্ছে না।

এছাড়াও স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ এর ৫ (৩) উপধারা অনুযায়ী ‘মেয়রের পদসহ করপোরেশনের শতকরা পঁচাত্তর ভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইলে এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশিত হইলে, করপোরেশন, এই আইনের অন্যান্য বিধান সাপেক্ষে, যথাযথভাবে গঠিত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে। ’

এ আইন মতে, উত্তর সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি মিলিয়ে কাউন্সিলর শতকরা পঁচাত্তর ভাগ হয় না। কারণ নতুন ১৮টি ওয়ার্ডে নির্বাচনই হয়নি। সে হিসাবে মেয়র পদই গঠিত হচ্ছে না।

তাছাড়া, সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডে যারা কাউন্সিলর হবেন, তারা কতদিনের জন্য নির্বাচিত হবেন। তারা কি পাঁচ বছরের জন্য হবেন, না আড়াই বছরের জন্য নির্বাচিত হবেন। এসব প্রশ্ন রেখেই দু’টি রিট করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৭, ২০১৮/আপডেট: ১২৪১ ঘণ্টা
ইএস/এইচএ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।