ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আপন জুয়েলার্সের দিলদারের মুক্তিতে বাধা নেই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
আপন জুয়েলার্সের দিলদারের মুক্তিতে বাধা নেই আপন জুয়েলার্সের ৩ মালিক

ঢাকা: অবৈধ স্বর্ণ মজুদের মামলায় জামিন পেয়েছেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ।

রোববার (২১ জানুয়ারি) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এ জামিনাদেশের ফলে দিলদার আহমেদের মুক্তিতে আইনগত আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

আদালতে আপন মালিকদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন ও ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী।

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের করা পাঁচ মামলার মধ্যে তিন মামলায় দিলদার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের মালিকদের জামিন দেন হাইকোর্ট। তবে বাকি দুই মামলা স্ট্যান্ডওভার (মুলতবি) রাখা হয়।

এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগ। ৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর হাইকোর্টের জামিন বহাল থাকলো বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। ওইদিন আইনজীবীরা জানান, পাসপোর্ট জমা রাখার শর্তে জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাইয়ের জামিন বহাল রাখা হয়েছে। তবে, দুই ভাই গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদের জামিনের মুক্তি পেতে বাধা না থাকলেও দিলদার আহমেদের আরও দুই মামলা থাকায় তিনি আপাতত জামিনে মুক্তি পাবেন না।

এরপর গত মঙ্গলবার এক মামলায় এবং রোববার অপর মামলায় জামিন পান দিলদার আহমেদ।

রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ডেকে নিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় গত বছরের মে মাসে গ্রেফতার হন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ।

বর্তমানে কারাগারে থাকা সাফাতসহ তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা নিয়ে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এরপরই আপন জুয়েলার্সের ‘অবৈধ লেনদেন’ এর খোঁজে তদন্তে নামে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর।

গত বছরের মে মাসের শেষ দিকে আপন জুয়েলার্সের বিভিন্ন শোরুম থেকে ১৫ দশমিক ৩ মণ সোনা এবং ৭ হাজার ৩৬৯টি হীরার অলঙ্কার জব্দ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠায় শুল্ক গোয়েন্দা।

এ বিষয়ে অনুসন্ধান শেষে গত ১২ আগস্ট আপন জুয়েলার্সের মালিক তিন ভাই দিলদার, গুলজার ও আজাদ আহমেদের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগে গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় পাঁচটি মামলা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৮
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।