হাইকোর্টের দেওয়া বদলির আদেশ স্থগিত চেয়ে ওসির করা আবেদন শুনানির জন্য বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালতে ওসি মো. শাহজাহানের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন।
ওই ঘটনায় নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার পর ২৯ জানুয়ারি হাইকোর্ট ওসিকে বদলির নির্দেশ দিয়ে ভবিষ্যতে ম্যাজিস্ট্রেটকে মোবাইল কোর্ট বসানোর সময় সতর্ক থাকতে বলে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে চারজনকে অব্যাহতি দেন।
চারজন হলেন- লোহাগাড়ার ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম, ওসি মো. শাহজাহান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) হেলাল খান ও ওয়াসিম।
এর আগে গত ১৪ জানুয়ারি এ চারজনকে তলব করেন হাইকোর্ট।
মনজিল মোরসেদ বলেন, কারাবন্দি বেলাল উদ্দিনকে অন্য একটি মামলায় ২০১৭ সালের ১৩ অক্টোবর গ্রেফতার করে পরদিন আদালতে চালান করে পুলিশ। কিন্তু ১৪ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশ অনুযায়ী দেখানো হয়, ওই দিন ১২টা ১০ মিনিটে ২ পুরিয়া গাঁজাসহ তার গ্রামের বাড়ি থেকে ধরা হয়।
এতে বোঝা যায়, পুলিশের হেফাজতে থাকা অবস্থায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বেলাল উদ্দিনকে সাজা দেয়। যা সংবিধান ও আইনের পরিপন্থি। ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে দেওয়া সাজা কেন বাতিল করা হবে না, এ আদালতের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না এবং বেলাল উদ্দিনকে কেন ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৮
ইএস/এইচএ/