রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ১১টার দিকে আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে সাড়ে ১০টার দিকে খালেদার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার জাকির হোসেন ভুঁইয়া ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতে ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনের শুনানি শেষে সংশিষ্ট আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান কারা কর্তৃপক্ষকে এ আদেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার ৫ বছর ও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত।
ঢাকার বকশীবাজার কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত বিশেষ আদালতে বিশেষ জজ ৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন।
শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে খালেদা জিয়াকে ৫ বছর, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায় ঘোষণার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে নেওয়া হয় বকশীবাজারের পুরনো কারাগারে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেওয়া হয়নি। তাকে সাধারণ কয়েদি হিসেবে রাখা হয়েছে। এরপর খালেদার ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
**কারাগারে খালেদার ডিভিশন চেয়ে আবেদন
বাংলাদেশ সময়: ১১৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৮
এমআই/আরআর