ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নাসরিন লঞ্চডুবি: ১৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রায় প্রকাশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০১৮
নাসরিন লঞ্চডুবি: ১৭ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের রায় প্রকাশ

ঢাকা: ২০০৩ সালে চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মোহনায় এমভি নাসরিন-১ লঞ্চ ডুবিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ বিষয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। 
 

বাংলায় লেখা ১৩৩ পৃষ্ঠার রায় সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
 
গত বছরের ৫ জুন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম ও বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেছিলেন।


 
চাঁদপুরের মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় ২০০৩ সালের ৮ জুলাই এমভি নাসরিন-১ লঞ্চ ডুবিতে নিহত হন ১১০ জন, নিখোঁজ হন ১৯৯। ওই নৌ-দুর্ঘটনায় লঞ্চটির মালিকও নিহত হন। এরপর একইবছর চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক লঞ্চ ডুবিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৪শ’ জনের তালিকা প্রকাশ করেন। সেই তালিকা অনুযায়ী নৌ-দুর্যোগ ট্রাস্টি বোর্ড নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়। যার পরিমাণ ৭০ লাখ টাকার উপরে।
 
কিন্তু নিহত ব্যক্তিদের দেওয়া ক্ষতিপূরণ অপ্রতুল দাবি করে ২০০৪ সালে ঢাকার তৃতীয় জেলা জজ আদালতে নিহত ১২১ জনের পরিবারের পক্ষে ক্ষতিপূরণ মামলা করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। মামলায় ২৮ কোটি ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।
 
২০১২ সালে সেই মামলা বদলি হয়ে ঢাকার ৭ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে যায়।  আদালত ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রায় দেন। রায়ে ৬০ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা দিতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে বিবাদীরা জেরা ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ চেয়ে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন জানান। আদালত ওই আবেদন খারিজ করে ক্ষতিপূরণের রায় বহাল রাখেন।

এ আদেশের বিরুদ্ধে বিআইডব্লিউটিএ-সহ বিবাদীপক্ষ ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। হাইকোর্ট পরদিন ‘নিম্ন আদালতের রায় কেন বাতিল ও রদ করা হবে না’ তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হাইকোর্ট সে আবেদন খারিজ করে ক্ষতিপূরণের রায় দেন।

ফলে এ বিষয়ে ফের নিম্ন আদালতে আর শুনানি হবে না।
 
আদালতে ব্লাস্টের পক্ষে ছিলেন ড. কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী ও সুব্রত চৌধুরী। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার, অ্যাডভোকেট রাফসান আলভী ও ইশরাত হাসান।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪,২০১৮
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।