ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঐশীর মা-বাবা হত্যা মামলায় গৃহকর্মী সুমির রায় ৬ মে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
ঐশীর মা-বাবা হত্যা মামলায় গৃহকর্মী সুমির রায় ৬ মে ঐশীর নিহত মা-বাবা ও তার ভাই। ফাইল ফটো

ঢাকা: পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (পলিটিক্যাল শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অংশের রায় ৬ মে ঘোষণা করা হবে।

মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রোববার (২২ এপ্রিল) ঢাকার ১ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও শিশু আদালতের বিচারক আল  মামুন রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর নিহতদের একমাত্র মেয়ে ঐশী রহমানকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের আদেশ দিয়েছিলেন ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল।

মামলার অন্য আসামি ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান রনিকে খুনের ঘটনার পর ঐশীদের আশ্রয় দেওয়ার অপরাধে দু’বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।  

জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও একমাস কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর আসামি ঐশীর বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি খালাস পান।

ওইদিন ট্রাইব্যুনাল রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন, সারাদেশ যেখানে শিশু নির্যাতনের বিপক্ষে সোচ্চার সেখানে স্রোতের বিপরীতে গিয়ে একজন শিশুর বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই কঠিন ছিল।

আসামিপক্ষ থেকে ঐশীকে শিশু, ঘটনার সময় ঐশী মাতাল ছিল আর হত্যাকাণ্ড ছিল নিছক একটি দুর্ঘটনা এমন দাবি বিচারক নাকচ করে দেন।  

তিনি বলেন, আদালতে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত যে ঐশী ১৮ বৎসরের বেশি। ঘটনার সময় সে শিশু ছিল না। আর হত্যাকাণ্ডটি নিছক দুর্ঘটনা ছিল না। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। খুনের আগে সে সময় নিয়েই ঠাণ্ডা মাথায় খুন করে।

মামলার আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার অংশের বিচার শিশু আদালতে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালের ১ জুন গাজীপুরের কিশোর সংশোধন কেন্দ্র থেকে মা সালমা বেগমের জিম্মায় জামিনে মুক্তি পায় সে।

২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  

এর পরদিন ঐশী গৃহকর্মী সুমীকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করে। পরে গ্রেফতার করা হয় অন্য দুই আসামি রনি ও জনিকে।  

২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট আদালতে খুনের দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন ঐশী।  

২০১৪ সালের ৯ মার্চ ডিবির পরিদর্শক আবুয়াল খায়ের মাতুব্বর ঢাকার সিএমএম আদালতে ঐশীসহ ৪ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দু’টি চার্জশিট দাখিল করেন।

এ মামলায় ৫৭ জন সাক্ষীর মধ্যে বাদী ঐশীর চাচা মো. মশিহুর রহমান রুবেলসহ ৪৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৮
এমআই/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।