বৃহস্পতিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিচারপতি জে বি এম হাসানের একক বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
শুরুতে এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আপনার আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা নেই।
আদেশের পরে খালেদার একজন আইনজীবী ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল বলেন, আমরা অনাস্থা জানিয়েছিলাম। আদালত লিখিতভাবে আবেদন করতে বলে সোমবার পর্যন্ত মুলতবি রেখেছেন।
পরে মাহবুবে আলম বলেন, খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আদালতের প্রতি অনাস্থা দেননি।
তিনি বলেন, আবেদনটি খারিজ হবে জেনেই খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা টালবাহানা শুরু করেছেন। কাণ্ডজ্ঞান সম্পন্ন লোকেরা জানেন, দণ্ডিতরা নির্বাচন করতে পারছেন না। সেখানে খালেদা জিয়া কীভাবে নির্বাচন করবেন?
মাহবুবে আলম আরো বলেন, ‘এ ধরনের কোনো আইন নাই, বা সুপ্রিম কোর্টেরও বিধি নাই। প্রধান বিচারপতি নির্বাচন সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তির জন্য এই বেঞ্চকে এখতিয়ার দিয়েছেন। যে কারণে এই খালেদা জিয়ার মামলা তিনটিও এই বেঞ্চে পাঠিয়েছেন নিষ্পত্তির জন্য। ’
১১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার তিনটি রিটের ওপর বিভক্ত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ খালেদা জিয়ার মনোনয়ন বাতিলে নির্বাচন কমিশনের আদেশ স্থগিত করে রুল জারি করেন।
বেঞ্চের অপর বিচারপতি মো. ইকবাল কবির এ আদেশের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন। এরপর নিয়ম অনুসারে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠালে তিনি উক্ত একক বেঞ্চ গঠন করেন।
এর আগে শুনানি শেষে সোমবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য ১১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন- ইউরোপীয় ইউনিয়নের ‘ইলেকশন এক্সপার্ট মিশনের’ আইন বিশেষজ্ঞ ইরিনি মারিয়া গোনারি।
৯ ডিসেম্বর (রোববার) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তার পক্ষে পৃথক তিনটি রিট করা হয়।
তার আগে গত ৮ ডিসেম্বর প্রার্থিতা ফিরে পেতে কারাবন্দি খালেদা জিয়ার করা আপিল নামঞ্জুর করে দেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যা পরবর্তীতে হাইকোর্টে গড়ায়।
সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে গত ২ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাইয়ের সময় খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র বাতিল করে দেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা।
পরে তাদের এ সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করেন খালেদার আইনজীবীরা।
তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও ৭ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০১৮
ইএস/এমজেএফ