বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডে কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালতে বিচারকার্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সবসময় আদালতের বিষয়ে কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, নাইকো দুর্নীতি মামলায় ১৩ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে। এই মামলার আজকের চার্জ শুনানির দিন ধার্য করা ছিল। মামলায় দীর্ঘদিন ধরে চার্জ শুনানি শেষ পর্যায়ে এসে বিচারক পরিবর্তন হওয়ায় আজ আবার নতুন করে শুনানি শুরু হয়েছে। খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।
‘খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় মওদুদ আহমদসহ অন্য আসামিদের সহযোগিতায় নাইকো রিসার্চ কোম্পানিকে গ্যাস উত্তোলন ক্ষেত্র পাইয়ে দেওয়ার যে ষড়যন্ত্র এবং যে লাভবান নিজেরা হয়েছেন, সে অভিযোগ আমরা তুলে ধরেছি। আমরা আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। আশা করছি আদালতের নির্ধারিত আগামী তারিখে আমরা মামলার চার্জ গঠনের একটি নির্দেশ পাবো। ’
মামলাটি গত আড়াই বছর ধরে চার্জ শুনানির জন্য অপেক্ষায় আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেখেন মামলাটি গত আড়াই বছর ধরে চার্জ শুনানির অপেক্ষায়। যখনই আমরা শুনানি শেষ করে আসি তখনই আমরা কোনো না কোনো কারণে এখান থেকে পিছিয়ে যাই। গত ২-১০-২০১৮ থেকে মওদুদ আহমদ শুনানি শুরু করেছেন। এখনো পর্যন্ত তিনি শেষ করেনি।
‘এই মামলাটির বয়স ১২ বছর। তাই মামলাটিকে দ্রুতগতিতে ত্বরান্বিত করতে আমরা আদালতকে বলেছি। আজ উভয়পক্ষের বক্তব্য শুনে উনি ১৩ জানুয়ারি চার্জ শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন। আশাকরি সেদিন আসামিপক্ষের শুনানি শেষ হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচারক যে কোনো কারণে পরিবর্তন হতে পারে। এটা কোনো ব্যাপার না। যেহেতু আমি নতুন এসেছি, সেহেতু আমি সব শুনানি আবার শুনতে চাই। সে কারণেই আবার শুনানি করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১৯
এমএএম/এএ