ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সিলেটে তন্নী হত্যা মামলার আসামির মৃত্যুদণ্ড

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০১৯
সিলেটে তন্নী হত্যা মামলার আসামির মৃত্যুদণ্ড

সিলেট: হবিগঞ্জে নবীগঞ্জে কলেজছাত্রী তন্নী রায় (১৯) হত্যা মামলায় এক আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও ২০১ ধারায় আরও তিন বছরের কারাদণ্ড, অনাদায়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজাউল করিম এ রায় দেন। দণ্ডপ্রাপ্ত রানু রায় (২৫) হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার জয়নগর গ্রামের কানু রায়ের ছেলে।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) কিশোর কুমার কর বাংলানিউজকে বিষয়টি  নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, একই উপজেলার শিবপাশা শ্যামলী আবাসিক এলাকার বিমল রায়ের কলেজপড়ুয়া মেয়ে তন্নী রায়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেন রানু। এরপর ২০১৬ সালের ১৭ থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনো এক সময় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তন্নীর মরদেহ স্থানীয় আকরমপুর গ্রামের গরমুল্লা ব্রিজের নিচে ফেলে যায়। ২০ সেপ্টেম্বর পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় রানুকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় রানুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। বিগত ২০১৬ সালের ৪ অক্টোবর আসামি রানু হবিগঞ্জের ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিজেকে জড়িয়ে খুনের ঘটনা স্বীকার করেন।

মামলাটি তিন দফা তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন হয়ে হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখায় তদন্ত ন্যস্ত হলে ওই বছরের ১৯ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ দায়রা জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন জেলা গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক কে এম আজমিরুজ্জামান।

২০১৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আদালতে রানুর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বিচার কার্য শুরু হয়। ২০১৮ সালের ১৪ জানুয়ারি মামলাটি বিচার কার্যের জন্য সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। দীর্ঘ শুনানিতে ৩১ সাক্ষীর মধ্যে ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ আদালত একমাত্র আসামি রানুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০১৯
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।