রোববার (১৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি জাফর আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।
পরে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় করা ১৫ মামলায় ছয় মাসের জামিন দিয়ে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেছেন।
তবে খুরশীদুল আলম বলেন, ১৫ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে ১১ মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন।
গত বছরের ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি একটি টেলিভিশনের টক শোতে মাসুদা ভাট্টি লাইভে যুক্ত হওয়া ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেন- ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি আলোচনা চলছে, আপনি সদ্য গঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে এসে জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করছেন কি-না?’
মইনুল হোসেন এ প্রশ্নের জবাব দেওয়ার একপর্যায়ে মাসুদা ভাট্টিকে ‘চরিত্রহীন’ বলে মন্তব্য করেন।
এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তৃতা-বিবৃতি দেয় বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।
এরপর রংপুর ও জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে মানহানি ও ডিজিটাল আইনে মামলা হয়।
রংপুরে করা মানহানির এক মামলায় ২২ অক্টোবর রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
এরপর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়। পরে আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৮
ইএস/এএ