ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

আপিলেও ‘সেই’ ওসমান গণির দণ্ড বহাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯
আপিলেও ‘সেই’ ওসমান গণির দণ্ড বহাল

ঢাকা: জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এক মামলায় হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সাবেক প্রধান বন সংরক্ষক ওসমান গণির লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

২০০৭ সালের পর যিনি ‘বনের রাজা’ হিসেবে পরিচিতি পান।

এ বিষয়ে তার করা আবেদন খারিজ করে দিয়ে মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলীর নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ রায় দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। ওসমান গণির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন।

২০০৮ সালের ৫ জুন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০ এর বিচারক এ কে এম আরিফুর রহমান তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে আদালত ওসমান গণির নামে থাকা ১ কোটি ৮০ লাখ ও স্ত্রীর নামে থাকা ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা এবং ২৭০ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করেছেন।

একইসঙ্গে স্বামীকে ‘দুর্নীতিতে সহযোগিতা’ করার ওসমান গণির স্ত্রী মহসিন আরাকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তবে মহসিন আরা পলাতক থাকায় তিনি আপিল করেননি।

এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিলের পর ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর হাইকোর্ট বেঞ্চ বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন।

পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, আজকে তার লিভ টু আপিল খারিজ হয়ে যাওয়ায় ২০০৮ সালে বিশেষ আদালতে তার বিষয়ে দেওয়া রায় বহাল রয়েছে।

এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেছিলেন ওসমান গণি। তার সে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। যদিও বিচারিক আদালতের দেওয়া সাজা তিনি এরইমধ্যে ভোগ করে বের হয়ে গিয়েছেন।

২০০৭ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওসমান গণির উত্তরার সরকারি বাসভবনে অভিযান চালিয়ে চালের ড্রাম, বালিশ ও তোষকের ভেতর থেকে এক কোটি ছয় লাখ ৮৪ হাজার ৬০০ টাকা উদ্ধার করে। এরপরই ওসমান গণিকে গ্রেফতার করা হয়।

২০০৭ সালের ২৬ জুলাই দুদক ওসমান গণি ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে উত্তরা থানায় মামলা করে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২২, ২০১৯/আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।