ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অগ্রগতি জানাতে গ্রিন লাইনকে বিকেল পর্যন্ত সময়

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
অগ্রগতি জানাতে গ্রিন লাইনকে বিকেল পর্যন্ত সময় বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল- সাথে গ্রিন লাইন বাস

ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ফ্লাইওভারের ওপর গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচাপায় পা হারানো প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে হবে বুধবার (১০ এপ্রিল) বিকেল তিনটার মধ্যে।

বুধবার (১০ এপ্রিল) বিচারপতি এফ আর এম  নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ সময় দেন।

আদালতে রিট আবেদনকারী আইনজীবী উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, এখন পর্যন্ত গ্রিন লাইন কর্তৃপক্ষ যোগাযোগ করেনি।

তখন গ্রিন লাইনের আইনজীবী অজি উল্লাহ বলেন, গ্রিন লাইনের মালিক চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন। তিনি আদালতে এসেছেন। আমাদের কিছু জটিলতা আছে। এ আদেশ বাস্তবায়ন করতে এক মাস সময় দরকার।

এ সময় আদালত বলেন, কিছু বাস্তবায়ন করে বিকেল তিনটায় আসুন।

গত বছরের ২৮ এপ্রিল মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারে কথা কাটাকাটির জেরে গ্রিন লাইন পরিবহনের বাসচালক ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাইভেটকার চালকের ওপর দিয়েই বাস চালিয়ে দেন। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকার চালক রাসেল সরকারের (২৩) বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট আবেদনটি দায়ের করেন সংরক্ষিত আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি। এ রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ১৪ মে রাসেলকে কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ কেন দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট।

সম্প্রতি রাসেলের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয়, এখন পর্যন্ত বাস কর্তৃপক্ষ তার কোনো খোঁজ খবর নেয়নি। পরে গত ১২ মার্চ বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাসেল সরকারকে ৫০ লাখ টাকা দেওয়ার আদেশের পাশাপাশি রাসেলের অন্য পায়ে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলে এবং কাটাপড়া বাম পায়ে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃত্রিম পা লাগানোর খরচও গ্রিনলাইন পরিবহন কর্তৃপক্ষকে দিতে বলা হয়েছিলো। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে গিয়ে ৩১ মার্চ বিফল হয় গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ।

এদিকে হাইকোর্ট বিভাগ ৩ এপ্রিলের মধ্যে টাকা পরিশোধ করে ৪ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে টাকা না দেওয়ায় ৪ এপ্রিল কোম্পানির ম্যানেজারকে দুপুর ২টার মধ্যে হাইকোর্টে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন আদালত। ম্যানেজার আব্দুস সাত্তার হাজির হয়ে গ্রিন লাইনের মালিক দেশের বাইরে চিকিৎসার জন্য রয়েছেন বলে আদালতকে অবহিত করেন। একইসঙ্গে মালিক ৯ এপ্রিল ফিরবেন বলে জানান।  

এরপর আদালত তাদের আদেশ বাস্তবায়ন করে ১০ এপ্রিল (বুধবার) প্রতিবেদন দিতে বলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০১৯
ইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।