রোববার (১৬ জুন) তৃতীয় মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেছেন।
এদিন ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরা আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন এবং অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য সময়ের আবেদন করেন।
গত ৩০ এপ্রিল বাদীর উপস্থিতিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যা প্ররোচনার দায়ের করা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।
তার আগে ২০ মার্চ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক কামরুল হাসান শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে মামলার দায় থেকে অব্যহতির আবেদনসহ ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরাকে আসামি করে মামলায় অভিযোগপত্র ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করেন।
১৪ জানুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালতে অ্যাডভোকেট বাহাউদ্দিনের মাধ্যমে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখা প্রধান জিন্নাত আরা আত্মসমর্পণ করে ৫ হাজার টাকার মুচলেকায় জামিন পান।
গত বছরের ৫ ডিসেম্বর শ্রেণি শিক্ষক হাসনা হেনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ, আর ১০ ডিসেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।
তার আগের দিন ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর বাবা দিলীপ অধিকারী বাদী হয়ে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস, শাখা প্রধান জিন্নাত আরা ও শ্রেণিশিক্ষক হাসনা হেনাকে আসামি করে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, একই বছরের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষার সময় অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষক। মোবাইল ফোনে নকল রয়েছে, এমন অভিযোগে পরদিন অরিত্রীর মা-বাবাকে স্কুলে নিয়ে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অসম্মান করেন। পরদিন মেয়ের ছাড়পত্র নিয়ে যেতে বলেন অরিত্রীর বাবাকে।
বিষয়টি নিয়ে পরে প্রিন্সিপালের কক্ষে গেলে তিনিও একই রকম আচরণ করেন। অপমানিত হয়ে অরিত্রী দ্রুত প্রিন্সিপালের কক্ষ থেকে বের হয়ে বাসায় গিয়ে তার কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
এ ঘটনায় ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কমিটি তিনজনকেই অব্যাহতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০১৯
এমএআর/জেডএস