মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকেলে ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ ড. শেখ গোলাম মাহবুবের আদালতে সাক্ষ্য দেন তিনি। পরে আগামী ২৪ জুন পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত।
২০০৭ সালের ৩ জুলাই মওদুদ আহমদকে তার নিজের, স্ত্রীর ও পোষ্যদের নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ও তার উৎস জানাতে নির্দেশ দেয় দুদক।
কারাগারে থাকা অবস্থায় ওই বছরের ২৩ জুলাই সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল করেন তিনি। তার দাখিল করা সম্পদের হিসাব বিবরণীতে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন ৭ কোটি ৩৮ লাখ ৬৪ হাজার ২৮৭ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করাসহ ৪ কোটি ৪০ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন মর্মে দুদকের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
এরপর ২০০৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক শরিফুল হক সিদ্দিকী বাদী হয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর গুলশান থানায় মওদুদ আহমদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১৪ মে দুদুকের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিম আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
চার্জশিটে বলা হয়, মওদুদ আহমদ তার দেওয়া হিসাব বিবরণীতে ৪ কোটি ৪০ লাখ ১৮ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। জ্ঞাত আয়ের বাইরে ৯ কোটি ৪ লাখ ৩৭ হাজার ২৩৩ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
পরে ২০১৮ সালের ২১ জুন মামলাটিতে চার্জ গঠন করেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন দুদুকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল; তাকে সহযোগিতা করেন দুদুকের আইনজীবী ফাতেমা খানম নীলা।
বাংলাদেশ সময়: ২১০৭ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১৯
এমএআর/এমএ