বুধবার (১৯ জুন) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মনির কামাল এ আদেশ দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি ওই চারজনকে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- লেনিন ব্যাপারী, শাহাবুদ্দিন দর্জি, রেজাউল ব্যাপারী, ও এমএম ফয়সাল আহমেদ। এদের মধ্যে রেজাউল ব্যাপারী পলাতক রয়েছেন।
অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মহিউদ্দিন দর্জি নামে এক আসামিকে খালাস দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায় ঘোষণার সময় এজলাসে উপস্থিত আসামিদের সাজা পরোয়ানা জারি করে কারগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে সরকারি নাজিম উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে কমনরুম বিষয়ক সেক্রেটারি পদে নির্বাচিত অহিদুজ্জামান অহিদ ইতালি যাওয়ার জন্য আসামি মহিউদ্দিন ও রেজাউলকে ১০
লাখ টাকা দেন। কিন্তু আসামিরা তাকে ইতালি পাঠাতে না পারলে অহিদ টাকা ফেরত চান।
এরমধ্যে তিথি নামে এক তরুণীকে বিয়ে করেন অহিদ। কিন্তু তিথিকে ‘ভালবাসতেন’ ইতালি প্রবাসী আসামি রেজাউল। তিনি যখন জানতে পারেন যে তিথিকে বিয়ে করছেন অহিদ, তখন রেজাউল ইতালিতে বসেই অহিদকে হত্যার ছক কষেন। এ পরিকল্পনায় অন্য আসামিদেরও যুক্ত করেন তিনি।
পরিকল্পনা অনুযারী আসামিরা অহিদকে ১০ লাখ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে ঢাকার সাভার নিয়ে আসেন এবং হত্যা করেন। পরে ২০১৩ সালের ৬ মার্চ মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর থানাধীন কাশিমপুর সাকিনস্থ চর দিঘলিয়া শাহ ব্যাপারীর ভুট্টা ক্ষেতে অহিদের মরদেহ পাওয়া যায়।
ওই ঘটনায় এসআই আ. ছালাম বাদী হয়ে সিংগাইর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেফতার আসামিরা ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এরপর ২০১৪ সালের ২২ নভেম্বর ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মদন মোহন বণিক ৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচারকাজ চলাকালে এক আসামি মারা যান। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়ার পর অবশেষে একজনকে অব্যাহতি দিয়ে বাকি ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৫ ঘণ্টা, জুন ১৯, ২০১৯
এমএআর/এইচএ/