ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা নিয়ে স্থিতাবস্থার আদেশ স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৯
ঋণখেলাপিদের বিশেষ সুবিধা নিয়ে স্থিতাবস্থার আদেশ স্থগিত

ঢাকা: ঋণখেলাপিদের সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে নীতিমালা জারি করেছে তার কার্যক্রমের ওপর হাইকোর্টের দেওয়া স্থিতাবস্থার আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।

অর্থ বিভাগের করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (০২ জুলাই) আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে ৮ জুলাই (সোমবার) পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানোর আদেশ দেন।

 

গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়। এরপর রিটকারীদের আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২১ মে ওই সার্কুলারের উপর ২৪ জুন পর্যন্ত স্থিতাবস্থা বজার রাখার জন্য আদেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।

২৪ জুন এ স্থিতাবস্থার মেয়াদ আরও দুইমাস বাড়ানো হয়। পরে এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, হাইকোর্টের আদেশ ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রেখে আবেদনটি ওইদিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন আদালত।

এর আড়ে গত ২১ মে আদেশের পর মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, ১৬ মে ঋণ খেলাপিদের নতুন করে একটা সুযোগ দিয়ে ২ শতাংশ ডাউন্ট পেমেন্ট জমা দিয়ে ১০ বছরের জন্য ঋণ পুনঃতফসিলের সুযোগ দিয়ে সার্কুলার দেয়। ১৬ মে এটির কথা আদালতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা বললো এ ধরনের সার্কুলার হয়নি। এ কারণে ঋণখেলাপিদের তালিকা দিতে ২৪ জুন পর্যন্ত তাদের সময় দেন। এর মধ্যে ওইদিন বিকেলে তারা এটা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে। এখন এ সার্কুলার চ্যালেঞ্জ করেছি।

তিনি বলেন, ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ঋণখেলাপির হাত থেকে মুক্তি পাবে, এ কারণে সিআইবিতে তাদের নাম থাকবে না। তখন নতুন করে হাজার হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে যাবে। এতে ব্যাংকের মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে। এ কারণে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম-মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত সার্কুলের কার্যক্রম স্থগিত রাখার জন্য।   

মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ঋণখেলাপির তালিকা দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুল জারি করেন। রুলে আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা বন্ধে কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর ২৪ জুন হাইকোর্টে ঋণ খেলাপিদের তালিকা দাখিল করা হয়।

এ রিটের সঙ্গে সম্পুরক আবেদন হিসেবে ঋণখেলাপিদের সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক যে নীতিমালা জারি করেছিলো তা স্থগিতে আবেদন করে রিটকারী পক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ০২ ,২০১৯
ইএস/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।