রোববার (১৪ জুলাই) জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানাধীন আরজীকালিকাপুর এলাকার সেন্টু খাঁর ছেলে মনির খাঁ (২৭) ও কালাম মিরার ছেলে রুবেল (২৬)।
রায় ঘোষণার সময় মনির আদালতে উপস্থিত থাকলেও রুবেল পলাতক আছেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফয়েজুল হক ফয়েজ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৮ জুলাই সন্ধ্যার দিকে আরজীকালিকাপুর এলাকার খলিলুর রহমান ঘরামীর ১১ বছরের মেয়ে ও আরজীকালিকাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী মুক্তা বাড়ির পাশে বান্ধবী সুমির বাসায় টেলিভিশন দেখতে যায়। এরপর সে আর ফিরে আসেনি। পরের দিন ২৯ জুলাই সকালে মুক্তার মা রুশিয়া বেগম তাদের লাকড়ি রাখার ঘরে আড়ার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মেয়ের মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়। পরবর্তীতে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে পুলিশ ধর্ষণ ও শ্বাসরোধ করে হত্যার প্রমাণ পায়।
পুলিশের ধারণা মুক্তাকে ধর্ষণের পর গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৬ নভেম্বর বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সিদ্দিকুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত করেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) পরিদর্শক আল মামুন উল ইসলাম। পরে ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দণ্ডপ্রাপ্ত রুবেল ও মনিরকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তিনি। পরে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪০ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/