সোমবার (২২ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ আদেশ দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা আসামিরা হলেন- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বেতন শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ জিন্নাহ ও হিসাব তত্ত্বাবধায়ক মো. হারুন অর রশিদ এবং ক্যাশ অ্যান্ড ব্যাংকিং শাখার সহকারী ব্যবস্থাপক এম এ রব ও হিসাব তত্ত্বাবধায়ক এম এ এস টি চৌধুরী (মীর আবু সাঈদ তাইফুদ্দিন চৌধুরী)।
এদের মধ্যে মোহাম্মদ জিন্নাহ, হারুন অর রশিদ ও এম এ এস টি চৌধুরীকে ৭ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড এবং এম এ রবকে ৫ বছর কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
হারুন অর রশিদ পলাতক থাকায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। দণ্ডপ্রাপ্ত অপর তিন আসামির সাজার পরোয়ানা জারি করে তাদের কারাগারে পাঠানোর দেন আদালত।
২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক বেনজীর আহম্মদের অর্থ আত্মসাতের এ মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০০১ সালের জুলাই থেকে ২০০২ সালের জুন পর্যন্ত বিমানের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী বিদেশ ভ্রমণ শেষে টিএ/ডিএ বিল উত্তোলনকালে টাকার অংক বাড়িয়ে দেন। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ১৬৬টি ভুয়া ভাউচারের মাধ্যমে ২৮ লাখ ৫৮ হাজার ৪৪১ টাকা আত্মসাৎ করেন।
২০১৪ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বেনজীর আহম্মদ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন আদালতে। ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ২০১৮ সালের ১৮ নভেম্বর আসামি মীর আজিজুর রহমান মারা যান। ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে সোমবার এ রায় দিলেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২২, ২০১৯
এমএআর/এইচএ/