বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চে আগামী রোববার (২৮ জুলাই) এ রিটের ওপর শুনানি হবে।
রিটের পক্ষে আইনজীবী হয়েছেন মো. ফয়েজউল্লাহ।
রিট আবেদনে ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করে ট্রাফিক সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার দায়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার পরিবারকে ১০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
এ রুল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়ার পরিবারকে পারিবারিক খরচ মেটাতে কিছু পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনা জারি করতে আবেদন করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র সচিব, সড়ক পরিবহন ও যোগাযোগ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, বরিশাল পুলিশ কমিশনার (বিএমপি), বরিশাল ট্রাফিকের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
গত ১৬ জুলাই সকালের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় কিবরিয়ার।
এর আগের দিন ১৫ জুলাই দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে পেশাগত দায়িত্বপালনের সময় কাভার্ডভ্যান চাপায় গুরুতর আহত হন বিএমপি ট্রাফিক বিভাগের সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বরিশাল নগরের বঙ্গবন্ধু উদ্যান থেকে হেলিকপ্টারে করে সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়াকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
জানা যায়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন সার্জেন্ট গোলাম কিবরিয়া। এসময় একটি কাভার্ডভ্যান ঢাকা থেকে বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দিকে যাচ্ছিলো। তিনি কাভার্ডভ্যানটিকে সিগন্যাল দিলে চালক তা অমান্য করে চালিয়ে যায়। এরপর সার্জেন্ট কিবরিয়া গাড়িটিকে ধাওয়া করে ধরার চেষ্টা করলে সেটি তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়।
পরে সেখানে থাকা ট্রাফিক বিভাগের কনস্টেবল মামুন বন্দর থানা পুলিশের সদস্য ও স্থানীয়দের সহায়তায় সার্জেন্ট কিবরিয়াকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
পরে নলিছিটি থানা পুলিশের সহায়তায় কাভার্ড ভ্যানটি জব্দ ও তার চালক জলিল সিকদারকে আটক করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৯
ইএস/জেডএস