এক আবেদনের শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়।
এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ৮ জুলাই পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। ৮ জুলাই এ স্থগিতাদেশের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়ান। তবে যারা দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্টের সুবিধা নেবেন তারা নতুন করে ঋণ নিতে পারবেন না। এছাড়া বিচারপতি জেবিএম হাসানের নেতৃত্বাধীন কোর্টে এ রিট মামলা শুনানি করতে বলেন।
সে আদেশ অনুসারে রিট মামলাটি উক্ত আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে।
আদালতে অর্থ বিভাগের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। বাংলাদেশের ব্যাংকের পক্ষে ব্যারিস্টার মুনীরুজ্জামান ও ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-বিএবির পক্ষে ছিলেন শাহ মঞ্জুরুল হক।
রিটকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি জানান, আদালত ওই সার্কুলার নিয়ে রুল জারি করেছেন। এছাড়া পরবর্তী শুনানির জন্য ৩১ জুলাই দিন ঠিক করেছেন।
মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবির করা এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট গত ১৩ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে ঋণখেলাপির তালিকা দাখিলের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুল জারি করেন। রুলে আর্থিক খাতে অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা বন্ধে কমিশন গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এর মধ্যে গত ১৬ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়। তখন এই রিটে ওই সার্কুলারের বিষয়ে সম্পূরক আবেদন করেন মনজিল মোরসেদ।
পরবর্তীতে ২৪ জুন বাংলাদেশ সিলগালা করে ঋণ খেলাপিদের তালিকা হাইকোর্টে দাখিল করেছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৯
ইএস/এএ