মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
এ মামলায় বুধবার (৩১ জুলাই) আরও সরকারি আটজনের সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালত সমন জারি করেছে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে মামলার অভিযুক্ত ১৬ আসামিকে আদালতে তোলা হয়। আদালতে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত একে একে ফেনী জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক আবু তাহের ও সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক আরমান বিন আবদুল্লাহর সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা চলে।
এদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীদের জেরার মুখেও সাক্ষীরা তাদের অবস্থানে অনড় থাকেন।
গত ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ১০ এপ্রিল ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় নুসরাত। গত ২৭ জুন মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী নুসরাতের বড় ভাই মাহমদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
পরে রাফির বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও সহপাঠী নাসরিন সুলতানা, মাদ্রাসার পিয়ন নুরুল আমিন নৈশপ্রহরী মো. মোস্তফা, কেরোসিন বিক্রেতা লোকমান হোসেন লিটন, বোরকা দোকানদার জসিম উদ্দিন ও দোকানের কর্মচারী হেলাল উদ্দিন ফরহাদ, মাদ্রাসার হল পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন, ফার্মেসি দোকানদার জহিরুল ইসলামসহ ৬৩ জন সাক্ষ্য দেন।
এ মামলায় ১২ জনের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডকারি ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সরাফ উদ্দিন, ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসকসহ আটজনকে বুধবার সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদালত সমন জারি করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
এসএইচডি/আরবি/