খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তার আইনজীবীরা সোমবার (০৫ আগস্ট) সময়ের আবেদন জানান। পরে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান নূর কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নবনির্মিত দুই নম্বর ভবনে স্থাপিত অস্থায়ী আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে নতুন এ তারিখ ধার্য করেন।
এই দুই মামলায় ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে জামিন পান খালেদা জিয়া।
২০১৬ সালের ৩ নভম্বের জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রী বানিয়ে গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দিয়ে দেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকার অবমাননা করা হয়েছে বলে আদালতে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ভুয়া জন্মদিন উদযাপনের অভিযোগে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা করনে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালের ১৯ ও ২২ আগস্ট দু’টি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী, জন্ম তারিখ ৫ সেপ্টেন্বর ১৯৪৬ সাল। ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিক তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯ আগস্ট ১৯৪৫ সাল উল্লেখ করে। তার বিয়ের কাবিননামায় জন্মদিন ৪ আগস্ট ১৯৪৪ সাল। সবশেষ ২০০১ সালে পাসপোর্ট অনুযায়ী তার জন্মদিন ৫ আগস্ট ১৯৪৬ সাল।
মামলায় বলা হয়, বিভিন্ন মাধ্যমে তার পাঁচটি জন্মদিন পাওয়া গেলেও কোথাও ১৫ আগস্ট জন্মদিন পাওয়া যায়নি।
এ অবস্থায় পাঁচটি জন্মদিন থাকলেও একটি জন্মদিন পালন না করে ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর শাহাদৎ বার্ষিকীতে জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ উৎসব করে জন্মদিন উদযাপন করছেন খালেদা জিয়া। শুধু বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য এটা করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫,২০১৯
এমএআর/জেডএস