উচ্চ আদালতের নির্দেশে বিচারিক তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে বুধবার (২১ আগস্ট) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
তিনি জানান, প্রতিবেদনে পলাশ কুমার রায় আত্মহত্যা করেছেন বলে তদন্ত কমিটি বলেছে।
‘আদালত বলেছেন যে, যদি ২৪ ঘণ্টার কমে তার চিকিৎসা শুরু করা যেতো আমরা জানিনা সে বাঁচতো কিনা কিন্ত উচিত ছিলো আগুনে পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে যে জায়গায় চিকিৎসা করানোর দরকার ছিল। আগে চিকিৎসা পরে দাপ্তরিক কাজ। ’
ব্যারিস্টার সুমন বলেন, এই প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইজি প্রিজন্সকে এ প্রতিবেদনের রিপ্লাই দিতে বলা হয়েছে। ওনাদের লিখিত জবাবের ওপর ১৫ অক্টোবর পরবর্তী আদেশের দিন ঠিক করেছেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো.বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
ব্যারিস্টার সুমনের এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ০৮ মে হাইকোর্ট আইনজীবী পলাশ কুমার রায়ের মৃত্যুর ঘটনায় পঞ্চগড়ের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের তত্ত্বাবধানে বিচারিক তদন্ত করতে নির্দেশ দিয়েছে রুল জারি করেন।
রুলে কারাগারে কারাবন্দিকে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চান হাইকোর্ট।
এ আদেশ অনুসারে বিচারিক তদন্তের পর হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের তালিকাভুক্ত আইনজীবী পলাশ জেলার আটোয়ারী উপজেলার আলোয়াখোয়া ইউনিয়নের বড়সিংগিয়া গ্রামের প্রণব কুমার রায়ের ছেলে।
জানা যায়, তার বিরুদ্ধে একটি প্রতিষ্ঠানের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত ২৫ মার্চ দুপুরে মানববন্ধন করার সময় প্রধানমন্ত্রীর নামে পলাশ কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ ওঠে। রাজীব রানা নামে এক তরুণ তার বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করেন।
তাকে আটক করে ২৬ মার্চ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ২৬ এপ্রিল কারা হাসপাতালের বাথরুমে অগ্নিকাণ্ডের শিকার হন তিনি। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। গত ৩০ এপ্রিল দুপুরে চিকিত্সাধীন অবস্থায় পলাশ মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
ইএস/এমএ