বুধবার (২১ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় দেন।
আরেক মামলায় সাইফুল ইসলামকে পৃথক দুই ধারায় যথাক্রমে দুই বছর ও পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি সাইফুল ইসলামকে তিন লাখ টাকা ও তার স্ত্রী জাকিয়া ইসলাম অনুকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডও দিয়েছেন আদালত। সাজা পরোয়ানা জারি করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম ও তার স্ত্রী জাকিয়া ইসলাম অনুকে আসামি করে ২০১০ সালের ২২ জুন রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোজাহার আলী সরদার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দুদক সাইফুল ইসলাম এবং তার স্ত্রীকে সম্পদের বিবরণী জমা দেওয়ার জন্য নোটিশ দেয়। সাইফুল ইসলাম ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিজ নামে, স্ত্রী ও পোষ্যদের নামে অর্জিত সর্বমোট ৪২ লাখ ৫৫ হাজার ২১ টাকার সম্পদ আর জাকিয়া ইসলাম অনু ৩১ লাখ ৪৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে ২ কোটি ৫০ লাখ ৫৭ হাজার ৭৮৬ টাকার বিবরণী কমিশনে জমা দেন।
পরে যথার্থ উৎস না থাকায় এবং বিপুল অংকের জ্ঞাত আয়বর্হিভূত সম্পদ নিজ দখলে রাখার অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে প্রথম মামলা দায়ের করা হয়। এরপর দ্বিতীয় মামলাটিও দায়ের করেন মোজাহার আলী সরদার।
২০১১ সালের ৪ আগস্ট আদালত দু’টি মামলায় আসামিদ্বয়ের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত বুধবার এ রায় দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
এমএআর/এইচএ/