বুধবার (২৮ আগস্ট) মামলাটির গ্রেফতারি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল না করায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সত্যব্রত শিকদার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নতুন এ দিন ধার্য করেন।
গত ৫ আগস্ট (সোমবার) একই আদালত বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী দণ্ডবিধি ৫০৬/১০৯ ধারায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা ও ছাত্রদল নেতা এমদাদুল হক ভূঁইয়া।
মামলায় বাদী তার অভিযোগে বলেন, চলতি বছরের ২৩ জুলাই বুয়েটের বহিষ্কৃত শিক্ষক হাফিজুর রহমান রানা আমাকে একটি চিঠি পাঠান। চিঠিতে ১৫ আগস্ট জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস দিয়ে আমাকে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়।
এছাড়া বোমা মেরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিক্ষেত্র উড়িয়ে দেওয়া হবে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, পরে তারেক রহমানের নেতৃত্বে গঠন করা হবে নতুন বাংলাদেশ।
তারেক রহমান আইএসের সঙ্গে চুক্তি করেছেন দাবি করে বাদী এবি সিদ্দিকী আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৬টার দিকে আদালত মামলাটির সব আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত ৬ আগস্ট (মঙ্গলবার) বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের বেঞ্চে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। পরে শীর্ষ পর্যায়ের এ চার নেতাকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতার বা হয়রানি না করতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে তাদেরকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকীর পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৯
এমএআর/জেডএস