বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এক রায়ে এ নির্দেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারোয়ার হোসেন বাপ্পী।
এর আগে আসামি আসাদুজ্জামানের জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে গত ৪ মার্চ হাইকোর্ট ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় আসামিদের জবানবন্দিতে নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলামের নাম আসায় তাকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ মহাপরিদর্শক ও নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারকে (এসপি) এ নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়।
এ নির্দেশের পর মামলায় অভিযোগপত্র দাখিল করে। তবে কামরুল ইসলামকে আসামি করা হয়নি। এ অবস্থায় নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) নাজিম উদ্দিন আজাদকে তলব করেন হাইকোর্ট। নারায়ণগঞ্জ সদর থানার সাবেক ওসির সম্পৃক্তার তথ্য আসার পরও তাকে আসামি না করায় এবিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। এ নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ব্যাখ্যা দাখিল করেন।
গতবছর ৭ মার্চ নারায়ণগঞ্জ সদর থানার এএসআই মোহাম্মদ সরওয়ার্দীর বাসা থেকে ৪৯ হাজার পিস ইয়াবা ও ৫ লাখ টাকা উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জ ডিবি পুলিশ। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামি পুলিশ সদস্য আসাদুজ্জামান ও মোহাম্মদ সরওয়ার্দীসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা বলেছেন, নারায়ণগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নির্দেশেই তারা টাকা ও ইয়াবা রেখেছে।
পরে ফরহাদ আহমেদ বলেন, আসাদুজ্জামানকে আদালত জামিন দেননি। আর আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তৎকালীন ওসির নাম উঠে এসেছে। কিন্তু অভিযোগপত্রে তার নাম আসেনি। তাই দুই মাসের মধ্যে পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
ইএস/এসএইচ