মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামছ জগলুল হোসেন মামলাটি খারিজ করে দেন। মামলাটি খারিজের আদেশ দেওয়ার বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার শামীম আহম্মেদ।
আদালত খারিজের আদেশে বলেন, ‘ধর্মের ভিন্ন ভিন্ন মত থাকতে পারে, তাতে ধর্মের কোনো ক্ষতি হয়নি’।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এই আদেশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান।
গত ১ সেপ্টেম্বর (সোমবার) একই আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য মো. ইব্রাহিম খলিল। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৮ ও ৩১ ধারায় মামলাটি করেন।
আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে সে সময় মৌখিক নির্দেশ দেন।
মামলার বাদী তার অভিযোগে বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আদর্শ অনুযায়ী ইসলাম ধর্ম পরিচালিত হয়। ওয়াজ মাহফিলের মধ্যে নাচ-গান সমর্থন করে না ধর্মীয় কোনো গ্রন্থ। ইসলাম ধর্মের যে রীতিনীতি, তা অনুযায়ী আসামির (তাহেরী) কর্মকাণ্ড মুনাফিকের শামিল। ওয়াজের মধ্যে গান গাওয়া ইসলাম সমর্থন করে না, অথচ আসামি তা করেন। তার বক্তব্যে ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ ও অবমাননা করা হয়। ‘বসেন বসেন, বইসা যান’, ‘ঢেলে দেই’ ধরনের বাক্য উচ্চারণ করেন আসামি, যা সম্পূর্ণ অশ্লীল। আসামির এসব কর্মকাণ্ড ইসলামে বিদআত বলে গণ্য। তিনি ইসলাম ধর্মের অপপ্রচারকারী। তার প্রচারিত ভিডিসমূহে দেখা যায়, তিনি ওয়াজের মধ্যে নাচ-গান করেন, ভক্তদের নিয়ে জিকিরের নামে নাচ-গান করেন।
আসামির এসব কর্মকাণ্ড ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে ইসলাম ধর্মীয় অনুভূতি ও ধর্মীয় মূল্যবোধের ওপর আঘাত সৃষ্টি করা হচ্ছে। আসামির এমন ওয়াজ মাহফিলের নামে ভণ্ডামি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার ইসলাম ধর্মের মধ্যে ঘৃণা-বিদ্বেষ সৃষ্টি করে এবং ধর্মপ্রাণ মানুষকে সঠিক শিক্ষা না দিয়ে ভুল বুঝিয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করে আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর উপক্রম তৈরি করে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, এ বিষয়ে বাদী গত ৩১ আগস্ট কোতয়ালী থানায় মামলা করতে যান। থানা কর্তৃপক্ষ মামলাটি না নিয়ে আদালতে দায়েরের পরামর্শ দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩,২০১৯
এমএআর/জেডএস