আয়কর আইনজীবীদের একটি প্রতিনিধি দল বিষয়টি আইনমন্ত্রীকে অবহিত করে প্রত্যেক ট্রাইব্যুনালে একজন করে জেলা জজ নিয়োগের দাবি জানালে মন্ত্রী জানান, তিনি এ বিষয় শিগগির প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করে দেশের আটটি আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালে আট জন জেলা জজ নিয়োগের ব্যবস্থা করবেন। এসময় তিনি তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গঠনের মতামত দেন।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ট্যাক্স লইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে তিনি একথা বলেন।
বৈঠকে অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শাহিদুল হক, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ ১৯৮৪ সালের আয়কর অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করা; বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আদলে বাংলাদেশ ট্যাক্স বার কাউন্সিল গঠন করা; আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিবর্তে পুনরায় আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা; প্রত্যেক ট্রাইব্যুনালে জেলা জজ পর্যায়ের একজন করে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তা নিয়োগ; অধস্তন ও উচ্চ আদালতের মতো আয়কর আপিল ট্রাইব্যুনালেও আয়কর আইনজীবীদের মধ্য হতে আইন কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন।
মন্ত্রী তাদের বলেন, এসব দাবি পূরণে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গেও আলোচনার প্রয়োজন আছে। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের জাতীয় বজেটের শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ আসতো বৈদেশিক সাহায্য বা অনুদান থেকে। আর এখন আমাদের জাতীয় বাজেটের প্রায় ৮৫ ভাগ আসছে রাজস্ব খাত থেকে, যার মধ্যে আয়কর বিরাট অংশজুড়ে আছে।
আয়কর আদায়ে আইনজীবীদের সহযোগিতা কামনা করে মন্ত্রী বলেন, প্রয়োজন হলে আয়কর আইনজীবীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য তাদের বিদেশে পাঠানো হবে।
মন্ত্রী আয়কর আইনজীবীদের আয়কর আইন বিষয়ক আরও অধিক জ্ঞান অর্জনের পরামর্শ দিয়ে বেশি বেশি বই পড়ার আহ্বান জানান এবং আয়কর বিষয়ক বই কেনার জন্য বাংলাদেশ ট্যাক্স ল’ইয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনকে পাঁচ লাখ টাকার অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৯
এমআইএইচ/এইচএ/