বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেন্বর) মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। এদিন শাহবাগ থানা পুলিশ তা দাখিল করেনি।
২০১৮ সালের ৩ এপ্রিল বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতক (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন (২১)। তার হাতটি বেরিয়েছিল সামান্য বাইরে। হঠাৎ পেছন থেকে স্বজন পরিবহনের একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে গা ঘেঁষে ওভারটেক করার সময় রাজীবের ডান হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
দু’তিনজন পথচারী দ্রুত তাকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকরা চেষ্টা করেও বিচ্ছিন্ন হাতটি রাজীবের শরীরে আর জুড়ে দিতে পারেননি।
পরে ওই বছরের ১৬ এপ্রিল দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রাজীব। মামলাটি প্রথম দণ্ডবিধির ২৭৯ ও ৩৩৮(ক) ধারায় দায়ের করা হয়। পরে রাজীব মারা যাওয়ায় ধারা পরিবর্তন করে দণ্ডবিধির ৩০৪(ক) অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
মামলার আসামি বিআরটিসি বাসের চালক মো. ওয়াহিদ ও স্বজন পরিবহনের বাসচালক মো. খোরশেদ বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
আসামিদের গত বছরের ৫ এপ্রিল দু’দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর একই বছরের ৮ এপ্রিল আসামিদের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেন্বর ২৬, ২০১৯
এমএআর/এএ