ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

এমভি নাসরিন-১ লঞ্চ ডুবি: ক্ষতিপূরণ রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৯
এমভি নাসরিন-১ লঞ্চ ডুবি: ক্ষতিপূরণ রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন

ঢাকা: ২০০৩ সালে চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মোহনায় এমভি নাসরিন-১ লঞ্চ ডুবিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবারকে ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করেছে সরকার।

সরকারের পক্ষে নৌ পরিবহন সচিবের করা এ আবেদনের পর আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ২০২০ সালের ৮ মার্চ পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠানোর আদেশ দেন।

বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছেন এই মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী ইশরাত হাসান।

সাংবাদিকদের তিনি বলেন, হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছি। গত ২ সেপ্টেম্বর আদালত এ আবেদনের শুনানির জন্য আগামী বছরের ০৮ মার্চ পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

চাঁদপুরের মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মোহনায় ২০০৩ সালের ৮ জুলাই এমভি নাসরিন-১ লঞ্চ ডুবিতে নিহত হন ১১০ জন, নিখোঁজ হন ১৯৯। ওই নৌ দুর্ঘটনায় লঞ্চটির মালিকও নিহত হন। এরপর একই বছর চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক লঞ্চ ডুবিতে ক্ষতিগ্রস্ত ৪০০ জনের তালিকা প্রকাশ করেন। সেই তালিকা অনুযায়ী নৌ-দূর্যোগ ট্রাস্টি বোর্ড নিহত ও আহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়। যার পরিমাণ ৭০ লাখ টাকার বেশি।

কিন্তু নিহত ব্যক্তিদের দেওয়া ক্ষতিপূরণ অপ্রতুল দাবি করে ২০০৪ সালে ঢাকার তৃতীয় জেলা জজ আদালতে নিহত ১২১ জনের পরিবারের পক্ষে ক্ষতিপূরণ মামলা করে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। মামলায় ২৮ কোটি ৯৩ লাখ ৯৪ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।

২০১২ সালে সেই মামলা বদলি হয়ে ঢাকার ৭ম যুগ্ম জেলা জজ আদালতে যায়। এ আদালত ২০১৬ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রায় দেন। রায়ে ৬০ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্তদের ১৭ কোটি ১১ লাখ টাকা দিতে বিবাদীদের প্রতি নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে বিবাদীরা জেরা ও যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের সুযোগ চেয়ে মামলাটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন জানান। আদালত ওই আবেদন খারিজ করে ক্ষতিপূরণের রায় বহাল রাখেন।

এ আদেশের বিরুদ্ধে বিআইডব্লিউটিএসহ বিবাদীপক্ষ ২০১৬ সালের ২৪ অক্টোবর হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেন। হাইকোর্ট পরদিন নিম্ন আদালতের রায় কেন বাতিল ও রদ করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষ হাইকোর্ট সে আবেদন খারিজ করে ২০১৭ সালের ০৫ মে ক্ষতিপূরণের রায় দেন।
  
এ রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ সময়: ২১২২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৯
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।