বুধবার (২ অক্টোবর) প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।
তবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) প্রতিবেদন দাখিল না করায় নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ শরীফ এ এম রেজা জাকের প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ দিন ধার্য করেন।
এ মামলার আসামিরা হলেন- সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ (গত ১৪ জুলাই তিনি মারা যান), মেজর (অব.) কাজী এমদাদুল হক ও লে. কর্নেল (অব.) মোস্তফা কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া। এরশাদ ছাড়া অন্য আসামিরা বর্তমানে জামিনে আছেন।
১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে এক সেনা অভ্যুত্থানে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে সেনানিবাসের ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার স্টাফ (জিওসি) ছিলেন মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর।
জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে মঞ্জুরকে আটক করে পুলিশ। এরপর ওই বছরের ২ জুন তাকে পুলিশের হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়।
হত্যাকাণ্ডের ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি জেনারেল মঞ্জুরের বড় ভাই ব্যারিস্টার আবুল মনসুর আহমেদ বাদী হয়ে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় এ হত্যা মামলা করেন।
ওই বছরের ২৭ জুন এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির তৎকালীন সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দ আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রায় ঘোষণার আগে তৎকালীন বিচারক হোসেনে আরা আকতারকে বদলি করা হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন আদালত।
এই মামলায় হাসান মাহমুদ ফিরোজের আগে বিভিন্ন সময়ে ২২ জন বিচারক দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০২, ২০১৯
এএ