রোববার (১৩ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এই আদেশ দেন।
মানি লন্ডারিং মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে রোববার তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
পরবর্তীতে শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
সবশেষ গত ২ অক্টোবর অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে গুলশান থানায় হওয়া দুই মামলায় শামীমের ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে গত ৭ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই দিন অস্ত্র মামলায় তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
এরপর মানি লন্ডারিং মামলায় তাকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। সেই রিমান্ড শেষে জি কে শামীমকে আজ (রোববার) আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর কথিত যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার জি কে শামীম এবং তার সাত দেহরক্ষীকে আটক করে র্যাব। ওই অভিযানে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া প্রায় ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর পাওয়া যায়। যার মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা শামীমের নামে। একইসঙ্গে পাওয়া যায় মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র।
পরদিন শামীম ও তার দেহরক্ষীদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে র্যাব। ওই দিন শামীমকে আদালতে হাজির করে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর গত ২ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় দুই মামলায় তার ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
কেআই/এসএ